১০ উইকেটে হার বাংলাদেশের

দলীয় ১৫৬ রানে ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আউট হলেন লিটন দাস। তার কিছুক্ষণ পরই ১৬৯ রানে গুটিয়ে গেলো বাংলাদেশ। এতে ঢাকা টেস্টে জিততে শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন মাত্র ছিল ২৯ রান। লক্ষ্যটা ৩ ওভারেই ১০ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় সফরকারীরা। ওশাদা ফার্নান্দো ৯ বলে ২১* রানে অপরাজিত থাকেন।

 

লঙ্কানদের জয়ের রাস্তা তৈরি করে দিয়েছেন পেসার আসিথা ফার্নান্দো। একাই তার শিকার ৬ উইকেট। তার বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন লিটন (৫২), সাকিব (৫৮), তাইজুল (১) খালেদ আহমেদ (০)।মোসাদ্দেকের উইকেট নিয়েছেন রমেশ মেন্ডিস।

 

চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র হয়েছিল। ফলে এ টেস্ট জিতলে ১-০তে সিরিজ নিশ্চিত করবে শ্রীলঙ্কা।

 

সাকিব আল হাসানের পর ব্যাট হাতে অর্ধশতক হাঁকালেন লিটন কুমার দাস। ধৈর্যশীল ইনিংসে ১৩০ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন লিটন।

এতে লিটন হাঁকান কেবল তিনটি বাউন্ডারি। ব্যক্তিগত ৪৮ রানে লাঞ্চে যান বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। বিরতি থেকে ফিরে প্রথম ওভারেই পূর্ণ করেন ফিফটি। ঢাকা টেস্টর প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি রয়েছে লিটনের। মিরপুরে প্রথম ইনিংসে লিটন করেন ১৪১ রান। ৩৩ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে লিটনের এটি ১৩তম অর্ধশতক

 

অর্ধ শতক হাঁকালেন সাকিব আল হাসান। তার মারকুটে ইনিংসে ৭টি চারের মার। ১৪৯/৫ স্কোর নিয়ে ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিনের মধ্যাহ্ন বিরতি যায় বাংলাদেশ। এতে ৮ রানের লিড নেয় স্বাগতিকরা। এসময় সাকিব অপরাজিত ছিলেন ৫২ রানে (৬১ বল)। অন্যপ্রান্তে অর্ধশতকের অপেক্ষায় লিটন কুমার দাস। তুখোড় ফর্মে থাকা লিটন অপরাজিত ৪৮ রানে। ৬১ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে সাকিবের এটি ২৭তম ফিফটি।

 

দিনের শুরুতেই মুশফিকুর রহীমের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে ব্যাট হাতে ক্রিজে গিয়ে কাউন্টার অ্যাটাকে ইনিংস এগিয়ে নেন সাকিব আল হাসান। নিজের মোকাবিলা করা ১৯ বলে পাঁচটি চার হাঁকান বাংলাদেশের এ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এ সময় তার সংগ্রহ ছিল ১৯ বলে ২৯ রান। ইনিংসের ৩২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১২/৫-এ। বাংলাদেশ তখন ২৮ রানে পিছিয়ে

 

এবার পারলেন না মুশফিকুর রহীমও। ব্যক্তিগত ২৩ রানে সাজঘরে ফিরলেন তিনি। এতে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫৩/৫-এ। ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩৬৫ রানের জবাবে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ পৌঁছে ৫০৬-এ। ম্যাচের চতুর্থ দিনে ৩৪/৪ সংগ্রহ নিয়ে খেলা শেষ করেছিল টাইগাররা। শুক্রবার দিনের সপ্তম ওভারে লঙ্কান পেসার কাসুন রাজিথার অফ স্টাম্পে লেংথ ডেলিভারিতে সরাসরি বোল্ড হয়ে যান প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ১৭৫ রান করা মুশফিক। এতে আরো একবার স্পষ্ট হলো সিরিজে লঙ্কান পেসারদের দাপট। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে দুটি করে উইকেট শিকার রাজিথা ও আসিথা ফার্নান্ডোর। প্রথম ইনিসে ৯ উইকেট ভাগাভাগি করেছিলেন এ দুই পেসার। ২৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭৮/৫। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ পিছিয়ে ৬২ রানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *