নিউজ ডেস্কঃ সুইডেনে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আরোপিত সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। ভাইরাসটিকে এখন আর সামাজিক ও সাধারণভাবে বিপজ্জনক কোনো রোগ হিসেবে বিবেচিত হবে না বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন জানান, সুইডেন এখন খোলার সময় হয়েছে। সংক্রমণের বিস্তার রোধ করার জন্য ২০২০ সালের মার্চ মাসে বিধিনিষেধ চালু করা হয়েছিল। প্রায় দুই বছর পরে এখন নীতিগতভাবে সব বিধিনিষেধ সরানো হচ্ছে। ব্যাপকভাবে বিধিনিষেধ পুনরায় চালু করার সম্ভাবনা কম।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন ওমিক্রন ভাইরাস ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে বর্তমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে বলেন, সুইডেনে গুরুতরভাবে অসুস্থ মানুষের সংখ্যা বর্তমানে স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। জনসংখ্যার মধ্যে টিকা দেওয়ার হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে করোনাভাইরাসের মহামারিকে সুইডেনের সবচেয়ে বড় অগ্নিপরীক্ষা হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, মহামারি এখনো শেষ হয়নি। তবে আমরা এখন উজ্জ্বল সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। সবাইকে কিছু ত্যাগ করতে হয়েছে। আমরা অনেকেই আমাদের ভালোবাসা হারিয়েছি। কিন্তু লাখ লাখ সুইডিশের এই ত্যাগের জন্য ধন্যবাদ, মানুষের জীবন রক্ষা করা হয়েছে। যারা বাড়িতে থেকেছেন, তাদের দূরত্ব বজায় রেখেছেন, ছুটির দিন নির্ধারণ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, বেশ কিছু সুপারিশ থাকবে। প্রত্যেকেরই টিকা দেওয়া উচিত এবং যে কেউ অসুস্থ বা কভিড-১৯-এর সন্দেহ আছে, তাদের অন্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়ানো উচিত। টিকা না দেওয়া ব্যক্তিদেরও বেশি জনসমাগম এবং জনাকীর্ণ পরিবেশ এড়াতে বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহে ডেনমার্ক, নরওয়ে এবং ফিনল্যান্ডেও করোনাভাইরাসের কারণে আরোপিত বিভিন্ন বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়া হয় এবং সেই সঙ্গে স্ক্যান্ডিনেভিয়ায় এই ভাইরাসকে অন্য যেকোনো সাধারণ এবং সামাজিক রোগ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়।