২০২৯ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকতে চান বরিস জনসন 

নিউজ ডেস্কঃ লকডাউনের মধ্যে মদের পার্টি করায় পদত্যাগ করার চাপে থাকা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, তিনি ২০২৯ সাল পর্যন্ত এই পদেই থাকতে চান। বুধবার ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সানকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি এ কথা বলেছেন।

বরিস জনসন বলেন, আমি আমার দায়িত্ব পালন করে চলেছি এবং যত দিন পর্যন্ত সুযোগ আছে আমি এই পদে দায়িত্ব পালন করতে চাই। ২০২৪ সালের নির্বাচনে আবারও প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হবো, আমার আরো কাজ করার রয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের এক খবরে বলা হয়েছে, কঠোর লকডাউনের মধ্যে পার্টি করায় বরিসের নিজ দলের বেশ কয়েক জন এমপি তার পদত্যাগ দাবি করেছেন। কিন্তু এসব দাবির মুখে বরিস জনসন নতি স্বীকার করবেন বলে কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং তিনি বলেছেন, আমি বিরোধী লেবার পার্টি বা অন্য কারোর সমালোচনাকে গুরুত্ব দিতে চাই না। সব সমালোচনার উচিত জবাব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করেছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় এসেছে। পদত্যাগ নয় বরং আগামী নির্বাচনের ওপর বেশি জোর দিচ্ছি।

এখন পর্যন্ত ১৩ জন কনজারভেটিভ পার্টির এমপি প্রকাশ্যে বরিস জনসনের পদত্যাগ দাবি করেছেন। আরো কিছু এমপি গোপনে এই ব্যাপারে সমর্থন দিয়েছেন। তবে দলের ১৯২২ কমিটির কাছে ৫৪ জন এমপি চিঠি দিয়ে অনাস্হা জানালে নেতৃত্ব পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটি শুরু হবে।

এদিকে বরিস জনসনের পদত্যাগের দাবিতে অনড় বিরোধী লেবার পার্টি। দলটির নেতা কেইর স্টারমার বলেছেন, আইনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর অশ্রদ্ধা গণতন্ত্রের ক্ষতি করছে। গণতন্ত্রের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্হা নষ্ট করছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সরকারের মন্ত্রীদের সমালোচনা করে বলেছেন, মন্ত্রীরা নিজেদেরকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন, দেশের জন্য কাজ করছেন না।

স্টারমার বলেন, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বারবার মিথ্যা বলছেন। এখন পর্যন্ত ১০ নাম্বার ডাউনিং স্টিটে ১২টি মদের পার্টি হওয়ার কথা জানা গেছে। আমার মনে হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছাকৃত করোনার কঠোর আইন ভঙ্গ করেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ব্রিটেনে যখন কঠোর লকডাউন চলছিল সে সময় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং বাসা ১০ নাম্বার ডাউনিং স্ট্রিটে বেশ কয়েকটি মদের পার্টি হয়, যার কয়েকটিতে যোগ দিয়েছিলেন জনসন। সারা দেশের মানুষ যখন কোভিড বিধিনিষেধ মেনে বাড়িতে ছিল, তার মধ্যে আয়োজিত এই পার্টির খবর ফাঁস হওয়ার পর জনগণের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া। এ বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সু গ্রের তদন্ত প্রতিবেদনের সম্পাদিত অংশ প্রকাশ হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত করছে যুক্তরাজ্য পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *