নিউজ ডেস্কঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি গ্রামকে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবলে সংযুক্ত করে উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হবে। ইন্টারনেটকে সহজ ও সুলভ করার পাশাপাশি এর সচেতনতার ওপরও গুরুত্বারোপও করে ইন্টারনেট সেবাকে পঞ্চম মৌলিক সেবা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে আইএসপিএবিসহ আইসিটি পরিবারকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সভা কক্ষে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)-এর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আইএসপিএবি পরিচালক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে অন্যনান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, আইএসপিএবি’র সভাপতি মো. এমদাদুল হক, আইএসপিএবি’র মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁইয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক, সহ সভাপাতি আনোয়ারুল আজিম, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, আব্দুল কাইয়্যুম রাশেদ, কোষাধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান, পরিচালক সাকিফ আহমেদ প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সকলের কাছে সুলভে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে ইন্টারনেট সেবাদাতারা। তাই উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা এক পরিবার হয়ে কাজ করবো। অল্পদিনের মধ্যেই পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলসের অধীনে ২০২৪ সালের মধ্যে গ্রামে গ্রামে ফাইবার অপটিক ক্যাবল পৌঁছে দিতে আইএসপিএবি’র সদস্যদের মাধ্যমে ১ লাখ ৯ হাজার এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ২০ লাখ কানেক্টিভিটি স্থাপন করা হবে।
আইএসপিএবি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অন্যতম অংশীদার উল্লেখ করে পলক বলেন, স্বল্পমূল্যে একই দরে ইন্টারনেট সেবা বাস্তবায়ন করতে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের জন্য রাউটার, সুইচ আমদানি কর শূন্য করা এবং তাদের সেবাকে আইটিইএস সেবার অন্তর্ভুক্ত করতে রাজস্ববোর্ডকে চিঠি দেওয়া হবে। এছাড়াও ইন্টারনেটে শিশুদের নিরাপদ রাখতে এবং ইন্টারনেট কনটেন্টে শৃঙ্খলা রাখতে আইএসপিএবি’র মাধ্যমে একটি ‘ডিজিটাল নেটওয়ার্ক ল্যাব’ স্থাপনে আইসিটি বিভাগে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলেও তিনি জানান।