বিশ্বে একদিনে করোনা শনাক্ত প্রায় ২০ লাখ

নিউজ ডেস্কঃ করোনা মহামারিতে ফের কাবু হয়ে পড়েছে সারাবিশ্ব এমন পরিস্থতিতে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। কিন্তু আগের দিনের থেকে অনেকটা কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গেল ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন অন্তত সাড়ে ৭ হাজার মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে প্রায় পৌনে ২০ লাখে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ব্রাজিল, ফ্রান্স, ইতালি, কলম্বিয়া, আর্জেন্টিনা ও তুরস্ক। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৭ কোটি ৭৬ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৬ লাখ ৯০ হাজার।

মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ হাজার ৩৪৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে দেড় হাজারের বেশি। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৬ লাখ ৯০ হাজার ৮১০ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ৭৩ হাজার ৩২২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে এক লাখের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ কোটি ৭৬ লাখ ৯ হাজার ৯০৩ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪১ হাজার ৫৮ জন এবং মারা গেছেন ৯১৪ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭ কোটি ৬১ লাখ ২২ হাজার ২৯৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৯ লাখ ৯ হাজার ৭৩১ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬২১ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৭০ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ১৮ লাখ ৬১ হাজার ৭৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩৪৯ জনের।

গত একদিনে ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৬৫৭ জন এবং মারা গেছেন ৩৪৮ জন। মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৯১ লাখ ৪০ হাজার ৭৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৩১ জন মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৩ হাজার ২৬১ জন এবং মারা গেছেন ১৮২ জন। একই সময়ে ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ হাজার ৭১৫ জন এবং মারা গেছেন ৩৪৯ জন।

এছাড়া করোনা মহামারির শুরু থেকে যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৬৪ লাখ ৬৮ হাজার ৫২২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৯৮ জন মারা গেছেন। গত এক দিনে কলম্বিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ২৮৪ জন এবং মারা গেছেন ২২১ জন।

এছাড়া জার্মানিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৯৬ জন এবং মারা গেছেন ১৪৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯৮ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ১৮ হাজার ৫২৭ জন মারা গেছেন। একই সময়ের মধ্যে ইউক্রেনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ২৬ জন এবং মারা গেছেন ৭৮ জন।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৪২ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার ৬১৬ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৫৪ লাখ ৫৪ হাজার ১০৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ২৭ হাজার ৩৬৫ জনের।

এদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৪ কোটি ১৪ লাখ ৬৬ হাজার ৭১১ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৮ জন।

এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ আফ্রিকায় ৭১ জন, পোল্যান্ডে ৩৩ জন, কানাডায় ১৩২ জন, আর্জেন্টিনায় ২৮৫ জন, গ্রিসে ১২৮ জন, হাঙ্গেরিতে ১৭৬ জন, বুলগেরিয়ায় ১৫৮ জন এবং ভিয়েতনামে ১০৯ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ১৩১ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৮৯৩ জনের।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *