নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন স্থগিত সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রত্যাহার, নির্বাচনের আর কোন বাঁধা নেই

নিউজ ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের ‘আব্রেলা সংগঠন’ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন ঘিরে দায়েরকৃত মামলায় নির্বাচন স্থগিত সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রত্যাহার হয়েছে। ফলে সোসাইটির নির্বাচন আয়োজনে আর কোন বাঁধা রইলো না বলে সোসাইটি সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র মতে, গত ২৫ জানুয়ারি মাননীয় আদালত ক্রস মোশানে সকল কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সোসাইটির নির্বাচন স্থগিত সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেন। কোন শুনানী ছাড়াই আদালত এ সিদ্ধান্ত প্রদান করেন।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ ও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারি নয়ন-আলী প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আলী বলেন, নির্বাচনের বাধা দূরীভূত হয়ে যাওয়ার বিষয়টি সোসাইটির জন্য একটা খুশির খবর। কিন্তু ইতোমধ্যেই সোসাইটির অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। সোসাইটি নিয়ে মামলা ও বার বার নির্বাচন পিছানোর ঘটনায় সোসাইটির প্রতি সাধারণ মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলছে।

একটি মহল কৌশলে বাংলাদেশ সোসাইটির ইমেজ নষ্টে উঠেপড়ে লেগেছে। আমি আশা করবো নির্বাচন কমিশন যথা শিগগির সম্ভব নির্বাচনের আয়োজন করবে। অন্যান্য প্রার্থীরাও দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠান আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন কমিশনের সদস্য রহুল সরকার বলেন, নির্বাচন স্থগিত সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রত্যাহারের বিষয়টি আমরা জেনেছি। দ্রুত নির্বাচন কমিশন করনীয় ঠিক করতে আলোচনায় বসবে। প্রয়োজনে কমিশন সোসাইটির নেতৃবৃন্দ ও ট্রাষ্টিবোর্ডের সদস্যদের সাথে আলোচনা করবে।

জানা গেছে, ২০১৮ সালে নির্বাচন হবার কথা থাকলেও তা আর আলোর মুখ দেখতে পারছে না। বার বার নির্বাচন স্থগিতের ঘটনায় কমিউনিটির এ সংগঠনটি এখন অস্তিত্ব রক্ষার সংকটে ভূগছে। ২ দফা নির্বাচনের আয়োজনে ইতিমধ্যে সোসাইটির প্রায় ২ লাখ ডলার খরচ হয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর নির্বাচনের সকল প্রস্তুতির মাত্র ২ দিন আগে আদালতের নির্দেশে তা স্থগিত হয়ে যায়। গত ২৫ জানুয়ারি আদালত সে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

ইতিপূর্বে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের চুড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন: সভাপতি কাজী আশরাফ হোসেন (নয়ন), সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুর রহীম হাওলাদার, সহ সভাপতি মোহাম্মদ রেজাউল করীম (সগীর), সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সহ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দুলাল মিয়া, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ জেড খান (ডিউক), সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবিব, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মনিকা রায়, জন সংযোগ ও প্রচার সম্পাদক শেখ হায়দার আলী, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আবুল কাশেম চৌধুরী, সাহিত্য সম্পাদক মোহাম্মদ হাসান (জিলানী), ক্রীড়া ও আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ এইচ রশীদ (রানা), স্কুল ও শিক্ষা সম্পাদক মোহাম্মদ সামাদ মিয়া জাকের এবং কার্যকরী সদস্য মোহাম্মদ এম আলম, মোহাম্মদ এ সিদ্দিক, সাঈদুর আর খান (ডিউক) ও আহসান উল্লাহ (মামুন)।
অপরদিকে ‘রব-রুহুল’ প্যানেলের চুড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন: সভাপতি আব্দুর রব মিয়া, সিনিয়র সহ সভাপতি মহিউদ্দীন দেওয়ান, সহ সভাপতি ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী, সহ সাধারণ সম্পাদক আমিনুল চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ নওশেদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম ভুঁইয়া, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ডা. শাহনাজ লিপি, জন সংযোগ ও প্রচার সম্পাদক রিজু মোহাম্মদ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোহাম্মদ টিপু খান, সাহিত্য সম্পাদক ফয়সল আহমদ, ক্রীড়া ও আপ্যায়ন সম্পাদক মাইনুল উদ্দিন মাহবুব, স্কুল ও শিক্ষা সম্পাদক প্রদীপ ভট্টাচার্য, কার্যকরী সদস্য মোঃ সাদী মিন্টু, ফারহানা চৌধুরী, শাহ মিজান, আবুল বাশার, আক্তার হোসেন বাবুল ও সুশান্ত দত্ত।

এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীদ্বয় হচ্ছেন: সভাপতি জয়নাল আবেদীন এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোমেন (সোহেল)।

এ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৭,৫১৩। নির্বাচন কমিশনে রয়েছেন : প্রধান নির্বাচন কমিশনার এস এম জামাল ইউ আহমেদ, নির্বাচন কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আবদুল হাকিম, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, রুহুল আমিন সরকার, কায়সার জামান কয়েস ও খোকন মোশারফ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *