নিউজ ডেস্কঃ প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হতেই হয়। সেই সঙ্গে অজানা ভয় ঘিরে থাকে কখন অদৃশ্য কোভিড ভাইরাস সংক্রমিত করে ফেলে। তার উপর ওমিক্রন অন্যান্য কোভিড ভ্যারিয়েন্টগুলোর মধ্যে বেশি সংক্রামক, কীভাবে রক্ষা পাবেন কোভিড সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে, জেনে নিন।
- সময়টা দখল করে নিয়েছে করোনা। গণপরিবহনও তার দখলের বাইরে নয়। বাস, ট্রেন, অটোরিকশা ও রিকশা ব্যবহারে সচেতন থাকুন। বাসা থেকে বের হওয়ার আগে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, টিস্যু সঙ্গে রাখুন। প্রয়োজনে জীবাণুনাশক স্প্রেও রাখতে পারেন। রিকশা বা অটোরিকশায় বসার আগে সিটটিতে জীবাণুনাশক স্প্রে করে নিতে পারেন। এতে সুরক্ষিত থাকবেন। সবসময় দুটি মাস্ক ব্যবহার করুন।
- জনাকীর্ণ স্থান এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে বাজার, মেলা ও ভিড় বেশি এমন রেস্তোঁরায় খাবার খেতে যাবেন না। সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন। অপরিষ্কার হাত দিয়ে কখনো নাক–মুখ–চোখ স্পর্শ করবেন না।
- এ সময়টাতে পার্টি, পিকনিক, জন্মদিনের অনুষ্ঠান ও বিয়েবাড়ি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে ষাটের বেশি বয়সের ব্যক্তিদের এ বিষয়টি খেয়াল রাখা জরুরি। ক্যানসার, ডায়াবেটিস, কিডনি ও হার্টের সমস্যা যাদের রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও সামাজিক সমাবেশ বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
- পার্লার কিংবা সেলুনও এই সময়ে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। এসব জায়গাতে যতই আপনি মাস্ক পরে থানুন না কেন, সংক্রমণের ভয় কিন্তু থেকেই যায়।
- সিনেমা হল, থিয়েটারেও সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। আপনার পাশের লোকটিই যে কোভিডে আক্রান্ত নন, তা বোঝা মুশকিল। তাই বাড়িতেই পরিবারের সঙ্গে ওটিটি মাধ্যমে পাওয়া কোনো ছবি দেখুন। এতে নিজে যেমন সুস্থ থাকবেন তেমনি আপনার প্রিয়জনও থাকবেন নিরাপদ।
- শপিং মলগুলো থেকেও করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়ায়। অজান্তে কোনো সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার আশঙ্কা এ ক্ষেত্রে থেকেই যায়। তাই আপাতত কিছুদিন না হয় আবার অনলাইন কেনাকাটায় ভরসা রাখুন। তবে বাইরে থেকে কোনো জিনিস বাড়িতে এলে সেই বাক্সটি ভালো করে স্যানিটাইজ করে তবেই বাড়িতে ঢোকান। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।
একবার কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন বলে পুনরায় করোনাভাইরাস আপনার শরীরে বাসা বাঁধবে না, এমন ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। দুটি টিকা নেওয়া হয়ে গেলেও সতর্ক থাকা জরুরি। অবশ্যই মুখে মাস্ক পরবেন। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও প্রয়োজনে জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার করুন।