নিউইয়র্কের আদালতে হুমায়ূন রশিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা খারিজ

নিউজ ডেস্কঃ নিউইয়র্কের নর্থ ব্রঙ্কসের বাসিন্দা হুমায়ূন রশিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগে দায়েরকৃত একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছেন ব্রঙ্কস কাউন্টি ক্রিমিনাল কোর্টের মাননীয় বিচারক। গত ১০ জানুয়ারি মাননীয় আদালত প্রদত্ত রায়ে হুমায়ূন রশিদকে নির্দোষ ঘোষণা করে মামলার (মামলার ডকেট নম্বর- ‘সিআর-০০৭৯৭৮-২১ বিএক্স’) নথিপত্র সিল করার নির্দেশ প্রদান করেন।

হুমায়ূন রশিদ জানান, তিনি গত বছরের ২১ মে নর্থ ব্রঙ্কস ইসলামিক সেন্টারে আসরের নামাজ শেষে মসজিদ কমিটির কাছে অভিযোগ করে বলেন, যে ইমাম নামাজে ইমামতি করেছেন তার সুরা সহী না। তাকে যেন আর ইমামতির দায়িত্ব দেয়া না হয়। এর পর মসজিদ থেকে বাইর হওয়ার পর মসজিদ কমিটির সভাপতি সৈয়দ জামিন আলী হুমায়ূন রশিদকে বলেন আপনার ভাল না লাগলে মসজিদে আসবেন না। এনিয়ে বাকবিতন্ডা হলে স্থানীয় মুরব্বী সহ অন্যদের সহযোগিতায় বিষয়টি ওইদিনই মিমাংসা হয়ে যায়।

হুমায়ূন রশিদ জানান, ওই ঘটনার তিনদিন পর পুলিশ কমান্ডো স্টাইলে তার বাসায় হানা দেয়। ওই সময় পুলিশ তাকে বাসায় না পেয়ে তার মেয়েকে বলে যান তার বাবা যেন ৫২ পুলিশ প্রিসেঙ্কটে যোগাযোগ করেন। পরে তিনি পুলিশ প্রিসেঙ্কটে কল করলে তাকে জানান হয় তার বিরুদ্ধে টেরোরিস্ট হামলার অভিযোগ রয়েছে। ১ জুন তিনি পুলিশ প্রিসেঙ্কটে যান এবং আইনজীবী নিয়োগ করেন। প্রিসেঙ্কটে যাওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং কয়েক ঘন্টা পর তাকে কোর্টে হাজির করা হয়। মাননীয় আদালত তাকে জামিন দেন।

হুমায়ূন রশিদ জানান, মামলাটি ৮ মাস চলার পর গত ১০ জানুয়ারি মাননীয় আদালত তাকে নির্দোষ ঘোষণা করে মামলাটি খারিজ করে নথিপত্র সিল করার নির্দেশ প্রদান করেন।

এব্যাপারে মসজিদ কমিটির সভাপতি সৈয়দ জামিন আলীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে নর্থ ব্রঙ্কস ইসলামিক সেন্টারের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইন জানান, মুসল্লী হুমায়ূন রশিদ মসজিদের ওই ইমামকে বাদ দিতে বলেন অন্যথায় মসজিদ তছনছ করার হুমকি দেন।

স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সুরাহা না করতে পেরে পরবর্তীতে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে স্থানীয় পুলিশ প্রিসেঙ্কটে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। সেসময় মসজিদ কমিটির সভাপতি সৈয়দ জামিন আলী এবং সাক্ষী সৈয়দ রাহুল ইসলামকে পুলিশের সরেজমিন রিপোর্টে স্বাক্ষর করতে বললে তারা সেখানে স্বাক্ষর করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *