সাহিত্য ডেস্কঃ
ভেঙে যাওয়া তরঙ্গ
গ্লাসটা শূন্য হলেই পিয়াসারা বেড়াতে যায়
ওমের কুশিলব ঠাণ্ড হলে
খয়েরি হয় নাইওরের পালঙ্ক
অভাবনীয় ছক্কার চাল ছাওনি ভেঙে উড়ে যাবে
এমনি ভবিতব্য
গাম্ভীর্যের মেমোরি রং নম্বর আপলোড করেছিল
এ দায় জিপিটাওয়ার নিতে বাধ্য নয়
এমন দুর্বল হাওয়ার তরঙ্গে
তাহারে আর দেখা যাবে না
তবুও অফটাইমের আয় আয় ডাকে
সোনালি টিপ ঘুম পাড়াতে আসে
বোবা হয় মালিন্যর ভাঁজ
হ্যামিলেনের বাঁশিওয়াল থলেতে জমা পড়ে
ছায়ার শহর
এইসব সিকুয়েন্স গুগলের আয়ত্তের বাইরে
সার্চ দিলে তারে কি করে পাই!
উষ্ণ জোয়ার
শরীরে জোয়ার এলে
তুমিটা বড় বেশি টুংটাং করে
কাঁচা নিঃশ্বাসের বায়ে খুলে যায়
পদ্মপুকুরের সকল দ্বার
আমি বউ হই
প্রেমিকার নিকেশ মিটিয়ে
এমন বিলের লৌহ রঙে
তুমিটা বারবার চম্বুক হও
চিনচিন ঢেউয়ের আঘাতে
সাদা হয় অনিয়ম
তোমার বেডরেস্টের উগ্রঘাম
বিলিকাটে ভেজা রাজ্য
ইত্যাদি ইত্যাদি খামখেয়ালে
খোয়াব আর মিঠাবিকেল
হন্তদন্ত কার্নিশ খুলে
লাঙ্গলের আধিপত্য আমি হই ঈশ্বরী!
ফের ঋতুতে ভিজলে আমি
তোমায় ওয়ারিশ করে দিবো
অষ্ট ভাঁজের কমলা
আর উগ্রসমুদ্রের উষ্ণতা
আড় সমুদ্রের জ্বলজ্বল
কথা ছিল ঢাকনা বন্ধ করেই রান্না হবে
হাসাহাসির চাঁদ
সকল টুংটাং বিক্রি হবে নুনের রুমালে
মৃত্যুদের পকেটে পোস্ট কার্ড থাকতে নেই
সাদা পৃষ্ঠার ঝলকানির জ্বলজ্বল
তাই তোমাদের আঙুল এড়িয়ে যায়
কথার ভ্রমণ স্ক্রিন অতিক্রম করে
আমড়ার আচারের স্বাদ নেয়
প্রমানিত বিকেলে
নিমের নির্যাসে শুধু থকথক শুকায় না
সব লেনদেন ম্যাচুর হলে
টগবগেও বাড়ায় ঘুমন্ত ফোঁড়ায়
তোমার আড়সমুদ্রের মতলবে
মাধ্যমিক বারান্দা নড়বড়ে হলেও মাতাল হয়নি
আয়ত্তে এনেছে
ছল এবং জল রঙের গালিচা
রৌদ্রস্নানে যে হাওয়ার দোপাট্টা পড়তে নেই
এই ভাঁজ গুনতে বৃষ্টি নামাতে হয় না আজ
এই সোনাপুকুরে ডোবাডুবি দেখে
মেঘের কি খুব জ্বলে যায়!
আবহাওয়া অফিসের এই তথ্য
দাখিলের জরুরত নাই…
লেখিকা- তানিয়া হাসান