স্বপ্নের শহর প্যারিস

নিউজ ডেস্কঃ শিল্প-সাহিত্য ও ঐতিহ্যে নগরী হিসেবে খ্যাত ফ্রান্স তার প্রাচীন নিদর্শন ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমিসহ নিজস্ব স্বকীয় বৈশিষ্ট্য নিয়ে আজও বিশ্বদরবারে সগর্বে মাথা উঁচু করে তার অবস্থান প্রকাশ করছে। ফরাসি শাসক নেপলিয়ান বিভিন্ন যুদ্ধের মাধ্যমে ফ্রান্সকে এক শক্তিশালী ও বিশাল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। ফ্রান্সের রাজধানী তথা বৃহত্তম শহর প্যারিস। প্যারিস শহর নাম শুনলেই মনের এক গহিন কোণে মৃদু নাড়া দিয়ে যায়, চোখে জেগে ওঠে নানান ছবি। পৃথিবীতে ফরাসি নিদর্শন দারুণভাবে পর্যটকদের আকর্ষণ করে। ফ্রান্স পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পর্যটক পরিদর্শনকারী স্থান হিসেবে বিবেচিত। সম্প্রতি এক জরিপে জানা যায়, বছরে প্রায় ৮২.৬ মিলিয়ন পর্যটক পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ দেশে বেড়াতে আসে। ইউনেসকোর দ্বারা নির্বাচিত প্রায় ৪১টি জায়গা ফ্রান্স এ অবস্থিত। বিশেষ করে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস এ ল্যুভর আর্ট মিউজিয়াম পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয়। ১৭৯৩ সালে ফরাসি বিপ্লবের সময় ল্যুভের পুরোনো প্রাসাদের যাত্রা শুরু হয়। এখানে লেওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা জগদ্বিখ্যাত দ্য মোনালিসার ছবি ও ভেনাস দ্য মিলো রয়েছে।

অনেকে তাই মনে করেন, খুব ভাগ্যবান মানুষ হলে নাকি প্যারিস শহরে যেতে পারেন কিন্তু প্যারিসের বিখ্যাত হওয়ার আরও একটি কারণ হলো আইফেল টাওয়ার। বিশ্বমেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে ১৮৮৯ সালে গুস্তাফি আইফেল এটি নির্মাণ করেন। আইফেল টাওয়ারের সৌন্দর্য মানুষে এতটাই বিমোহিত করে। এ টাওয়ার কেন্দ্র করে তেমনি জানা যায় ২০০৭ সালে এক নারী তার বিবাহিত জীবনে অশান্তির কারণে সংসার ত্যাগ করে আইফেল টাওয়ারকে বিবাহ করে এবং আইফেল টাওয়ারের নাম অনুসারে নিজের নাম পরিবর্তন করে রাখেন Erik la Tour Eiffel.

ফ্রান্সের মানুষকে সবচেয়ে আধুনিক ফ্যাশনের বলা হয়। প্রায় ৪০০ ধরনের বিভিন্ন খাবার ও পানীয় ফ্রান্সে দেখা যায় তাই তো ফ্রান্সের রান্না পৃথিবী বিখ্যাত। বিখ্যাত পানীয় শেমপেন তৈরি হয় ফ্রান্সের শেমপেন এলাকায়। সিনেমা জগতের সবচেয়ে বড় উৎসব কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *